Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

Months

{fbt_classic_header}

Breaking News:

latest

Tungnath Yatra 2019

 জয় শ্রী তুঙ্গনাথ লিখেছেন Debjyoti Das
পঞ্চ কেদার এর সর্বোচ্চ কেদার তুঙ্গনাথ প্রায় 13,100 ।দেওরিয়াতাল দেখে সারি গ্রাম এ থেকে বিকালে  চোপতা চলে এলাম ।যখন পৌঁছলাম তখন সন্ধ্যা  হয়ে এসেছে, গাড়ি থেকে নামতেই টের পেলাম ঠান্ডা কাকে বলে ! ঠান্ডায় হাত পা অসার হয়ে আসছে, হোটেল পেলাম না তাই আজ রাতটা ক্যাম্পে কাটাবো ।পরদিন ভোরে 16ই অক্টোবর আলুর পরোটা খেয়ে পারি দিলাম তুঙ্গনাথ এর পথে, রাস্তা চড়াই তাই আসতে আসতে সময় নিয়ে যাওয়াই ভালো।কিছুটা চলতে চলতে হাঁপ ধরে যাচ্ছে রাস্তা খুব চড়াই, একটু জল খেয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম কষ্ট তো হচ্ছেই কিন্তু পথের সৌন্দর্য তা ভুলিয়ে দিচ্ছে বারে বারে পা থমকে যাচ্ছে মনে মনে বলছি এরকম রাস্তা পেরিয়েই বোধহয় ঈশ্বরএর সান্নিধ্যে আসতে হয় । অনেকটা চলার পর বোন পেরিয়ে একটা বুগিয়ালে এসে পড়লাম আমার সঙ্গী উত্তেজিত হয়ে ছুটতে শুরু করলো তারপর বুগিয়ালে অনেক নাচানাচি হলো অনেক ছবিতোলা হলো সত্যি ওখান থেকে এগোতে ইচ্ছে করছিলো না এখান থেকে চৌখাম্বাকে আরো সামনে থেকে দেখলাম তার শরীরে হালকা মেঘের আলিঙ্গন, সবুজ কার্পেট পাতা বুগিয়াল, শরতের গাঢ় নীল আকাশ, পেঁজা তুলোর মতো মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে কোথাও কোনো বাধা নেই, আমিও এই গতানুগতিক জীবনের শিকল খুলে 12000ft উচ্চতায় ভেসে বেড়াচ্ছি  ।হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা চলে এসেছি পা আর চলছে না, একজনকে জিজ্ঞেস করলাম কতটা বাকি? সে বললো "চলতে যাও চলতে যাও "।শেষের দিকে আর পা এগোচ্ছিলোনা ভাবলাম আর যেতে পারবো না দম ফুরিয়ে আসছে কিন্তু যেতে তো হবেই ঘন্টা দেড়েক  চলার পর মন্দির শীর্ষ দেখতে পেলাম মনে মনে বললাম "at last "।অক্টোবর মাস তাই মন্দির ফাঁকা, মন্দির চত্বরে পা হাতের সামনের ঘন্টা  তিন বার বাজালাম ঘন্টার শব্দে  গায়ে কাঁটা দিলো কেন জানি না, এই অনুভুতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না নিজেকেই অনুভব করতে হয় ।চিৎকার করে বলে উঠলাম "জয় শ্রী তুঙ্গনাথ এর জয় " ।
দর্শন শেষে আমার সঙ্গী বলে উঠলো "close ur eyes and turn right এবার চোখ খোলো happy birthday to you "।তাকিয়ে দেখলাম সব মেঘ সরে গেছে কেদার, ত্রিশূল, মন্দানি, চৌখাম্বা হিমালয়ের সব নাম জাদা শৃঙ্গরা রাজকীয় মহিমাসহ আমার দিকে তাকিয়ে আছে ঠিক যেন রুপো দিয়ে কেউ বাধিয়ে দিয়েছে !আমার চোখের কোন চিক চিক করে উঠলো I was speechless!!! ।হ্যা আজ আমার জন্মদিন দিন ভুলেই গিয়েছিলাম এটা ছিল জন্মদিনে  দেওয়া আমার সারা জীবন এর সাথীর  উপহার which was priceless...........কোটি টাকার বিনিময়ে এই মুহূর্তটা কেনা সম্ভব নয়।
 
 
 
 

No comments

Ads Place