আবার একটু লিখতে বসলাম। মাঝে একদিন বিষন্ন মনে কিছু লিখেছিলাম, আমাদের হিমাচল প্রদেশ যাওয়া বাতিল হওয়া নিয়ে। অনেকের সুচিন্তিত মতামত এ সমৃদ্ধ ও হয়েছিলাম। পক্ষে ও বিপক্ষে দুরকম মতামত ই পেয়েছিলাম। সকলেই তাদের বিবেচনা অনুযায়ী মতামত দিয়েছিলেন।সকলকেই ধন্যবাদ জানাই আন্তরিক ভাবে।
কিন্তু ...... শেষমেষ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হল। তার আগে নানা জনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলল দফায় দফায়। কর্ম সূত্রে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু পরিচিত জনের কথা য় ভরসা করে , শেষ পর্যন্ত আমরা শনিবার (2ndMarch) ভোর রাতে চণ্ডীগড়ে যাওয়ার বিমানে চড়ে রওনা দিলাম।
পরিচিত বন্ধুগণের তরফে সতর্কীকরণ এর বিষয় ছিল একমাত্র অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া জনিত কারণে। আমরা কলকাতা য় ঠাণ্ডা উপভোগ করি খুবই স্বল্প পরিসরে। কাজেই সে খেয়াল রেখে বেশি করে গরম পোশাক সাথে নিয়ে ছিলাম।
আমরা চণ্ডীগড়ে সকাল সকাল পৌঁছে , ওখান থেকে (আগে থেকেই book করা গাড়ি তে) রওনা দিয়ে বিকেলে পৌঁছলাম মাণ্ডি district এর রেওয়ালসর নামক ছোট্ট পাহাড়ি জনপদে। ওখানেই আমাদের সেদিনের রাতের আস্তানা। এক প্রসস্ত লেকের ধারে আমাদের হোটেল ছিল হিমাচল প্রদেশের সরকারি হোটেল। সামনে একটি ছোট্ট মনাস্ট্রি ।সন্ধ্যা নামল, সাথে অঝোর ধারায় বৃষ্টি.... সেই সাথে হাঁড় কাঁপানো ঠাণ্ডা।
রাত কাটিয়ে সকালে যখন দেখলাম ঝকঝকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন হাসি মুখে স্বাগত জানাচ্ছে, তখন যেন শীতের হাওয়ার কাঁপন ও কমে গেল। স্নান করে , জলখাবার খেয়ে এবার ধরমশালা র দিকে সকাল ৯ টা নাগাদ রওনা দিলাম। অনেক খানি পথ .... পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে নতুন নতুন দৃশ্য পটের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা নিয়ে চললাম.... । মাঝে জ্বালামূখী মন্দির দর্শন ( এটি একটি পীঠস্থান ) , lunch আর কাংড়া উপত্যকা র প্রাচীন দূর্গের ( মহাভারতের সময় কার ) ধ্বংসাবশেষ এর মধ্যে ইতিহাস কে খুঁজে নিয়ে সন্ধ্যায় ম্যাকলয়েড গঞ্জ (Upper Dharamshala ) পৌঁছলাম। পথে বরফ ঢাকা পাহাড় ছিল আমাদের সঙ্গী। অপূর্ব সেই যাত্রা !!!
পরের দিন ওখানকার দর্শনীয় স্থান চার্চ, view point ( triund hill ), ডাল লেক, দালাইলামা মন্দির , একটা জলপ্রপাত আর নাগ মন্দির দেখা হল। পরের দিন war memorial park আর Dharamshala Stadium দেখে আমরা সন্ধ্যা নাগাদ ডালহৌসি পৌঁছলাম। পথে lunch করে নিয়েছিলাম। ডালহৌসি ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ, যেখানে Air base রয়েছে Indian Army ( Air force ) এর। ডালহৌসি পৌঁছে বরফকে আরো কাছে পেলাম। সারা রাস্তা র দুপাশে বরফের স্তূপ....। আমাদের হোটেল এর চারিপাশে স্তূপীকৃত বরফ। গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের বাসিন্দা আমরা.... এ তো আমাদের চূড়ান্ত ভালো লাগার পরিবেশ.... অবশ্যই আমরা যারা ঠাণ্ডা পছন্দ করি।ঠাণ্ডা ছিল প্রচণ্ড.... । Hotel room খুব cozy ছিল.... হিটারের কল্যাণে।
পরেরদিন কাছাকাছি দুটি চার্চ আর বরফ ঢাকা এক ঝর্নার (panch pulla)পাশে ঘুরে , ডালহৌসি ক্যাফে তে খেয়ে হোটেল ফিরে , ঘরে বসে সূর্যাস্ত দেখলাম। আকাশের রঙের খেলা ছিল অনবদ্য। পরের দিন ঘুর পথে চাম্বা হয়ে খাজিয়ার গেলাম ( বরফের জন্য অল্প দূরত্বের পথ বন্ধ ছিল )। পথে পড়ল রাভি নদীর বাঁধ চামেরা ড্যাম ও বাঁধ সংলগ্ন চামেরা লেক। খাজিয়ারে Snowfall দেখা হয়ে গেল। সে এক অদ্ভুত মূহুর্ত !! ব্যাখ্যাতীত। মন কানায় কানায় পূর্ণ হলো।
পরের দিন অমৃতসর এসে বর্ডার (Attari)এর Beating the Retreat এর অভিজ্ঞতা য় সমৃদ্ধ হয়ে হোটেল পৌঁছলাম সন্ধ্যা নাগাদ। ওই দিন রাতে ই স্বর্ণমন্দির দর্শনের অভিজ্ঞতা য় সমৃদ্ধ হলাম।
পরের দিন দেখলাম দূর্গীয়ানা মন্দির ও জালিয়ানওয়ালা বাগ। ব্রিটিশ শাসনের নৃশংসতা র দলিল.... আজ ও শিউরে উঠি , সেই ঘটনার কথায়।
আমাদের ঘোরা শেষ হলো সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে। একমাত্র Airport এর tight security ছাড়া কোথাও আতঙ্কের কোন চিত্র চোখে পড়েনি।
কিন্তু ...... শেষমেষ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হল। তার আগে নানা জনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলল দফায় দফায়। কর্ম সূত্রে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু পরিচিত জনের কথা য় ভরসা করে , শেষ পর্যন্ত আমরা শনিবার (2ndMarch) ভোর রাতে চণ্ডীগড়ে যাওয়ার বিমানে চড়ে রওনা দিলাম।
পরিচিত বন্ধুগণের তরফে সতর্কীকরণ এর বিষয় ছিল একমাত্র অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া জনিত কারণে। আমরা কলকাতা য় ঠাণ্ডা উপভোগ করি খুবই স্বল্প পরিসরে। কাজেই সে খেয়াল রেখে বেশি করে গরম পোশাক সাথে নিয়ে ছিলাম।
আমরা চণ্ডীগড়ে সকাল সকাল পৌঁছে , ওখান থেকে (আগে থেকেই book করা গাড়ি তে) রওনা দিয়ে বিকেলে পৌঁছলাম মাণ্ডি district এর রেওয়ালসর নামক ছোট্ট পাহাড়ি জনপদে। ওখানেই আমাদের সেদিনের রাতের আস্তানা। এক প্রসস্ত লেকের ধারে আমাদের হোটেল ছিল হিমাচল প্রদেশের সরকারি হোটেল। সামনে একটি ছোট্ট মনাস্ট্রি ।সন্ধ্যা নামল, সাথে অঝোর ধারায় বৃষ্টি.... সেই সাথে হাঁড় কাঁপানো ঠাণ্ডা।
রাত কাটিয়ে সকালে যখন দেখলাম ঝকঝকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন হাসি মুখে স্বাগত জানাচ্ছে, তখন যেন শীতের হাওয়ার কাঁপন ও কমে গেল। স্নান করে , জলখাবার খেয়ে এবার ধরমশালা র দিকে সকাল ৯ টা নাগাদ রওনা দিলাম। অনেক খানি পথ .... পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে নতুন নতুন দৃশ্য পটের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা নিয়ে চললাম.... । মাঝে জ্বালামূখী মন্দির দর্শন ( এটি একটি পীঠস্থান ) , lunch আর কাংড়া উপত্যকা র প্রাচীন দূর্গের ( মহাভারতের সময় কার ) ধ্বংসাবশেষ এর মধ্যে ইতিহাস কে খুঁজে নিয়ে সন্ধ্যায় ম্যাকলয়েড গঞ্জ (Upper Dharamshala ) পৌঁছলাম। পথে বরফ ঢাকা পাহাড় ছিল আমাদের সঙ্গী। অপূর্ব সেই যাত্রা !!!
পরের দিন ওখানকার দর্শনীয় স্থান চার্চ, view point ( triund hill ), ডাল লেক, দালাইলামা মন্দির , একটা জলপ্রপাত আর নাগ মন্দির দেখা হল। পরের দিন war memorial park আর Dharamshala Stadium দেখে আমরা সন্ধ্যা নাগাদ ডালহৌসি পৌঁছলাম। পথে lunch করে নিয়েছিলাম। ডালহৌসি ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ, যেখানে Air base রয়েছে Indian Army ( Air force ) এর। ডালহৌসি পৌঁছে বরফকে আরো কাছে পেলাম। সারা রাস্তা র দুপাশে বরফের স্তূপ....। আমাদের হোটেল এর চারিপাশে স্তূপীকৃত বরফ। গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের বাসিন্দা আমরা.... এ তো আমাদের চূড়ান্ত ভালো লাগার পরিবেশ.... অবশ্যই আমরা যারা ঠাণ্ডা পছন্দ করি।ঠাণ্ডা ছিল প্রচণ্ড.... । Hotel room খুব cozy ছিল.... হিটারের কল্যাণে।
পরেরদিন কাছাকাছি দুটি চার্চ আর বরফ ঢাকা এক ঝর্নার (panch pulla)পাশে ঘুরে , ডালহৌসি ক্যাফে তে খেয়ে হোটেল ফিরে , ঘরে বসে সূর্যাস্ত দেখলাম। আকাশের রঙের খেলা ছিল অনবদ্য। পরের দিন ঘুর পথে চাম্বা হয়ে খাজিয়ার গেলাম ( বরফের জন্য অল্প দূরত্বের পথ বন্ধ ছিল )। পথে পড়ল রাভি নদীর বাঁধ চামেরা ড্যাম ও বাঁধ সংলগ্ন চামেরা লেক। খাজিয়ারে Snowfall দেখা হয়ে গেল। সে এক অদ্ভুত মূহুর্ত !! ব্যাখ্যাতীত। মন কানায় কানায় পূর্ণ হলো।
পরের দিন অমৃতসর এসে বর্ডার (Attari)এর Beating the Retreat এর অভিজ্ঞতা য় সমৃদ্ধ হয়ে হোটেল পৌঁছলাম সন্ধ্যা নাগাদ। ওই দিন রাতে ই স্বর্ণমন্দির দর্শনের অভিজ্ঞতা য় সমৃদ্ধ হলাম।
পরের দিন দেখলাম দূর্গীয়ানা মন্দির ও জালিয়ানওয়ালা বাগ। ব্রিটিশ শাসনের নৃশংসতা র দলিল.... আজ ও শিউরে উঠি , সেই ঘটনার কথায়।
আমাদের ঘোরা শেষ হলো সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে। একমাত্র Airport এর tight security ছাড়া কোথাও আতঙ্কের কোন চিত্র চোখে পড়েনি।
টুর প্ল্যান
প্রথম দিন : কোলকাতা থেকে সকালে চন্ডিগড় হয়ে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা গাড়িতে রেওয়ালসর (মান্ডি ডিস্ট্রিক্ট )(১৯৫ km )দ্বিতীয় দিন :রেওয়ালসর থেকে ধরমশালা সাড়ে চার ঘন্টা (১৫৫ km ) ।
তৃতীয় দিন : ধরমশালা থেকে ডালহৌসি সাড়ে তিন ঘন্টা (১৪৫ km )
চতুর্থ দিন :ডালহৌসি ঘুরে দেখা
পঞ্চম দিন : চাম্বা খাজিয়ার হয়ে ডালহৌসি ফেরা।
ষষ্ঠ দিন : ওয়াঘা বর্ডার ঘুরে অমৃতসর
সপ্তম দিন : অমৃতসর ঘুরে দেখা
অষ্টম দিন : অমৃতসর থেকে কলকাতা ফেরা
No comments