Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

Months

{fbt_classic_header}

Breaking News:

latest

Kumaun Himalaya By Kuheli Ghosh Bandyopadhyay

উত্তরাঞ্চলের আবির্ভাব ২০০০সালে, উত্তর প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে , ২০০৬ এ নতুন নাম হয় উত্তরাখণ্ড। কুমায়ূন ও গাড়োয়াল নিয়ে গড়া উত্তরাখণ্ড আয়তনে ছোট হলেও, পর্যটকদের নয়নের মণি। সাধু সন্তদের লীলাভূমি উত্তরাখণ্ড মর্ত্যের স্বর্গ নামেও পরিচিত। ১৮১৫ তে ব্রিটিশ কোম্পানি দখল করে কুমায়ূন।
 উত্তরাখণ্ডের কুমায়ূন রেঞ্জটাই আমাদের এবারের গন্তব্য। তুষারাচ্ছাদিত হিমালয়ের শিখর রাজিকে কাছ থেকে দেখার জন্য ছুটে গেছি নৈনিতাল, রানিক্ষেত , কৌশানি , মুন্সিয়ারি , চৌকরি , আলমোরা । হাওড়া থেকে লালকুঁয়া এক্সপ্রেস ধরে লালকুঁয়া , সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে নৈনিতাল । এই গাড়ি আর গাড়ির চালক ছিল আমাদের ১০ দিনের সফর সঙ্গী ।
  নৈনিতাল নিঃসন্দেহে সুন্দর শৈলশহর , কিন্তু বড় বেশী জনসমাগম ঘটে এই বড়দিনের ছুটিতে । বিশেষ করে এতো বাঙালি যে মনে হচ্ছিল পার্ক স্ট্রিট বা ধর্মতলায় ঘুরছি , পার্থক্য শুধু ঠাণ্ডাটাই ছিল হাঁড় কাঁপানো । তবে রোপওয়ে করে আম আকৃতির নৈনি লেক সহ পুরো নৈনিতাল শহরের দৃশ্য , চায়না পিক থেকে হিমালয় দর্শন অপরূপ , যা চাইলেও ভোলা যায় না । নৈনিতালের আর ও একটা দর্শনীয় স্থান নয়না দেবী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় ভুটিয়া মার্কেট । প্রাণ খুলে কেনাকাটা করা যায় । নৈনি লেকের পাশে নয়না দেবীর মন্দির , শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত । লেকের জলে বড় বড় মাছ সহজেই দৃশ্যমান । এছাড়াও নৈনিলেক, ভীমতাল, সাততাল, নওকুচিয়া তালের দৃশ্য বড়োই মনোরম ও সব লেকেই বিভিন্ন ধরনের বোটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। যে কথা না বললে নৈনিতাল ভ্রমণ অসম্পূর্ণ তা হলো , পথের পাশে বিক্রি হওয়া ভুট্টা , এতো সুস্বাদু ও এতো মিষ্টি যা আগে কখনো খাইনি ।   
   পরদিন আমাদের গন্তব্য ছিল কৌশানি । ভোয়ালির বাজার ছাড়িয়ে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চললো রানিক্ষেতের দিকে । এখানে বলে রাখি চাঁদ বংশীয় রানীর হাতে রানিক্ষেতের পত্তন হলেও শহরের শ্রী বৃদ্ধি হয় ব্রিটিশ আমলে । ওক, ঝাউ , সিডার, সাইপ্রাসে মোড়া  রানিক্ষেত সত্যিই অপরূপা । নিচে সবুজে মোড়া মাঠ আর পরিস্কার নীল আকাশ যেন রানিক্ষেতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে । পথের মধ্যে শাল কারখানা ও আর্মি মিউজিয়াম রবিবার হওয়়ায় বন্ধ ছিল , তাই গাড়ি ছুটলো কৌশানির পথে । তারই মধ্যে চোখে পড়ল মিলিটারি একাডেমি । কালো পিচে মোড়া রাস্তা যেনো অজগর সাপের মত এঁকে বেঁকে পাহাড়ের গা বেয়ে এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে মিশে গেছে । পাহাড়ের রাস্তা ভয়ঙ্কর সুন্দর , যেমন তার রূপ বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে , তেমনি এক পাহাড় দিয়ে যেতে যেতে যখন পাশের পাহাড়কে দেখছি বুকের ভিতরটা যেন ভয়ে কুঁকড়ে উঠছে । যদিও দক্ষ ড্রাইভার সুনিপুণ হাতে স্টিয়ারিং ধরেছিলো পুরো ট্যুরটা । বিকাল ৪.৩০ নাগাদ আমরা কৌশানি পৌছালাম । হোটেল থেকে হিমালয়ে সূর্যাস্তের এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা বাকরুদ্ধ ।পথে মধ্যে মাঝে মাঝেই বরফের চাদরে ঢাকা হিমালয় উঁকি দিয়েছে কিন্তু হোটেলে বসে এভাবে হিমালয় দর্শন করবো ভাবতে পারিনি । অস্ত যাওয়া সূর্যের লাল আভা পুরো পাহাড়ের রূপই বদলে দিয়েছে । বাঁদিক থেকে নন্দা দেবী, নন্দা দেবী ইস্ট, নন্দা খোট, ত্রিশূল, পাঁচ চুল্লির শৃঙ্গ রাজি দৃশ্যমান । সূর্য দেব যতই অস্ত যায় , ঠান্ডা ও তত জাঁকিয়ে বাড়ে । গান্ধীজির অনাসক্তি আশ্রম বন্ধ থাকায় আমরা দেখতে পারিনি। ভোর হতে না হতেই দেখি সূর্যের লাল আভা পুরো আকাশ রাঙিয়ে দিয়েছে আর বরফে ঢাকা হিমালয়ের এক একটা শৃঙ্গ এক এক রঙে সেজে উঠেছে । এই দৃশ্য যদিও রুমের ভিতর থেকেই দেখা যাচ্ছিল তবুও ছবি তোলার জন্য ব্যালকনিতে যেতেই টের পেলাম কি প্রচন্ড ঠান্ডা , টেম্পারেচার প্রায় ১ বা ২ ডিগ্রি হবে । পথের ধারে , গাছের পাতায় শিশির কনা গুলো জমে গেছে ।
  প্রাতরাশ সেরে রওনা হলাম মুন্সিয়ারির উদ্দেশ্যে । পথে মধ্যে ভোজগাঁও, গরূড় এর মতো ছোট ছোট গ্রাম , বাজার পেরিয়ে আমরা পৌঁছলাম বৈজনাথ মন্দিরে । তীর তীর করে বয়ে গেছে গোমতী নদী । শীত কাল বলে সব নদীই জনশূন্য । পাথরের তৈরি মন্দিরটি অপূর্ব । জনশ্রুতি বনবাস কালে পান্ডবরা মন্দির গড়ে পুজো দেন এখানে । তবে ঐতিহাসিকদের মতে ভারতে একমাত্র পার্বতি মন্দির এটি এই গরুড় উপত্যকায়। কারুকার্যময় মন্দিরটির জানলা দরজা দারুর , কষ্টিপাথরের চতুর্ভূজা দেবী মূর্তি। শিব গনেশ ছাড়াও অন্যান্য দেবতা রয়েছে।তবে বারংবার বিদেশিদের দ্বারা আক্রান্ত ও লুঠ হয় মন্দির। পাশেই একটা বিশাল জলাশয় রয়েছে । বাগেশ্বর থেকে বাইপাস ধরে কাপকোট, শামা গ্রাম পেরিয়ে এগিয়ে চলল আমাদের গাড়ি । তেজামের ছোট্ট হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার রওনা দিলাম । এখানকার মহাশোল মাছ খুবই বিখ্যাত । যতই উপরে উঠতে থাকি পাহাড়ি পথ ততই সংকীর্ণ ও দূর্গম হতে থাকে । খানিক দূর থেকে দেখলে পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি গুলোকে ঠিক খেলনা গাড়ির মতো দেখাচ্ছিল । কিছু পাহাড় একদম রুক্ষ , আবার কিছু পাহাড় সবুজে ঢাকা । তবে এই রাস্তার সৌন্দর্য চেটে পুটে উপভোগ করেছি । আবার যখন কোনো বড় লরিকে পাশ দিতে গিয়ে আমাদের গাড়ি একদম খাদের ধারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিল তখন প্রান পাখি ভয়ে ধুকপুক করছিল । একবার তো রাস্তা এতটাই চড়াই আর ভাঙা ছিল যে গাড়ির পিছনের চাকা স্কীড করে গেছিল । ড্রাইভারের দক্ষতায় সে যাত্রায় কিছু হয়নি । তবে ভয়ের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে ঐ মুহুর্তে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পেরিয়েছিলাম ঐ রাস্তা । গাড়ি থেকে নামতেই প্রচন্ড ঠান্ডা যেন কামড় বসালো সারা শরীরে । সাথে সাথে কাঁপুনি শুরু হয়ে গেল। তার ওপর রাস্তা এতটাই চড়াই যে কয়েক সেকেন্ড হেঁটেই বুকে হাঁপানি ধরে যাচ্ছে । এই যে প্রচন্ড ভয় পেয়ে ছিলাম তার পর আর ক্যামেরা বের করার কথা মনে ছিল না । খেয়ালই করিনি কখন পথের ধারে বরফ পড়ে থাকতে শুরু করে ছিল । গাড়ি থামলো কালামুনি টপে গিয়ে । সেখান থেকে পাঁচ চুল্লি পর্বত ক্যামেরা বন্দি করলাম। কি অদ্ভুত রঙের খেলা চলছে তখন সারা আকাশ জুড়ে । পাহাড়ের চূড়ায় বরফের রং বদলে যাচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে । কখনো হালকা লাল আভা কখনো বা টকটকে লাল । অপরূপ সে দৃশ্য । কোনো এডিটিং ছাড়াই এমন রূপ , অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকেছি । কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূর্য ডুবে গেলো । পাহাড়ের রং ও বদলে গেলো , দুধ সাদা বরফই শুধু দৃশ্যমান । মুনির আশ্রমের চারিপাশে মোটা বরফের চাদর । যদিও সে তুষার পাত হয়েছিল ১০/১২ দিন আগে। ৯৫০০ফিট উচ্চতা থেকে মুন্সিয়ারি যাবার বেশীর ভাগ রাস্তার ধারেই বরফ পড়ে থাকতে দেখা গেলো । মুন্সিয়ারি পৌঁছতে পৌঁছতে অন্ধকার নেমে এলো । ইন্টারনেট না থাকায় টেম্পারেচার কত ছিল জানি না । তবে কাঠের ঘরে রুম হিটার না জ্বালানো অবধি ঠক ঠক করে কেঁপেছি ।
  পরদিন সকাল হতে না হতেই একের পর এক শীতবস্ত্র পড়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েই টের পেলাম হিমালয়ের কত কাছে আমরা চলে এসেছি, তার সাথে ভয়ঙ্কর ঠান্ডা । কথিত আছে, মহাপ্রস্থানের পথে  এই পাঁচ চুল্লিতে পাঁচ স্বামীর জন্য  রান্না চাপান দ্রৌপদী । সমগ্র আকাশ ফুড়ে দাঁড়িয়ে আছে তুষারাবৃত পাঁচ চুল্লি( সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ৬৯০৪মি) সূর্যের আলোয় ক্ষনে ক্ষনে রং বদল করছে তার সাথে বইছে শনশন করে ঠান্ডা হাওয়া। স্কুল কলেজ বাজার, পোস্ট অফিস সবই পৌঁছে গেছে মুন্সিয়ারিতে । অনতিদূরে অবস্থিত নন্দা দেবী মন্দির ,হিমালয়ের কোলে , একপাশে পাঁচ চুল্লি ও গ্লেসিয়ার ও অন্যদিকে সবুজ পাহাড় , নিচে বয়ে গেছে গৌরীগঙ্গা নদী না দেখলে খুব আফসোস থেকে যেতো । ভাঙা চোরা সংকীর্ণ রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছালাম মুন্সিয়ারি ট্রাইবাল মিউজিয়ামে । ছোট্ট তিন কামরার সংরক্ষণশালাটি অনেক বৈচিত্র্যময় । ঐ অঞ্চলের মানুষের ব্যবহার্য্য জিনিস পত্র থেকে শুরু করে মুদ্রা, পোশাক , গহনা, প্রাকৃতিক উপায়ে করা রং, হ্যান্ডমেড কাগজ, ম্যাপ আরও অনেক কিছু ।
   পর দিন সকাল সকাল ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রওনা হলাম চৌকরির পথে । আগের দিন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় কালামুনি টপে বরফ উপভোগ করতে পারিনি। ফেরার পথে দু জায়গায় গাড়ি থামিয়ে সে আফসোস মিটিয়ে নিলাম । নামার পথে বিরথীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য পথ রোধ করে দাঁড়ালো । ১০০ মি উঁচু থেকে নেমে এসেছে বিরথী ফলস । এরপর গাড়ি এগিয়ে চলল থল এর রাস্তা ধরে , পথে হাজির রামগঙ্গা নদী । সারাদিনে অনেকগুলো পাহাড় পেরিয়ে আমরা নেমে এলাম চৌকরিতে । kmvn resort সংলগ্ন মাঠ  থেকে হিমালয়ের অনেকগুলো শৃঙ্গ একসাথে দৃশ্যমান । অপরূপা হিমালয় বারবার তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছে আমাদের । যতই নিচে নেমে আসছি ততই মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে এই ভেবে যে এবার যাত্রা সাঙ্গ হবার পালা ।   
   পরদিন আলমোরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। উত্তরাখণ্ড তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত , এখানেও তার অন্যথা হল না । পথে মধ্যে গোলু দেবতা মন্দির দর্শন করলাম ।  ভিতরে যেতেই চোখে পড়ল ছোটো থেকে বড় হরেক আকারের ঘন্টা ও নানা ভাষায় ভগবানের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি , সবই মূলত মানসিক । মন্দিরে কোন বিগ্রহ নেই , ঘোড়ায় চড়া এক ব্যক্তি তরবারি হাতে তারই ছবি পুজো হচ্ছে , ইনিই কুমায়ূন ও গাড়োয়ালেয় স্থানীয় জাগ্রত গোলু দেবতা । এরপর পথেই পড়ল কাসার দেবী মন্দির । দেবদারু ও পাইন গাছ ঘেরা জঙ্গলের রাস্তা পেরিয়ে পৌছাতে হয় কাসার দেবী মন্দিরে । কাসার দেবী ছাড়াও শিবের ও মন্দির রয়েছে । জঙ্গলের মধ্যে এই মন্দির থেকে হিমালয়ের শৃঙ্গ রাশিকে ৩৬০ ডিগ্রিতে দেখা যায় , সেই জন্যই দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে এখানে । এরপর হোটেলে পৌঁছে, ব্যাগ পত্তর রেখে হাঁটা পথে পৌঁছে গেলায় আলমোরার নন্দা দেবী মন্দির। গোটা পঞ্চাশেক সিঁড়ি ভেঙে উঠতেই দর্শন হল হিমালয় কন্যার , সাথে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছিল । যত না ঠান্ডা মুন্সিয়ারিতে লেগেছে তার চাইতে বেশি ঠাণ্ডা লেগেছে আলমোরা নৈনিতালে । আলমোরা গেলে ওখানকার প্রসিদ্ধ দোকান থেকে সিঙ্গারা, বাল মিঠাই খেতে ভুলবেন না।   
   পরদিন আমরা নৈনিতাল রওনা দিই । লালকুয়াঁ থেকেই ফেরার ট্রেন থাকায় আমরা নৈনিতালে এসে একরাত থাকি , তাতে করে স্টেশনের কাছেও থাকা হল , আর এমনিতেও নৈনিতাল দেখতে দুটো দিন লাগে । মনের স্মৃতি পটে কুমায়ূন তার স্মৃতি চিহ্ন এঁকে গেল সারা জীবনের জন্য ।
Kumaun Himalaya
Kumaun Himalaya 

Tour Plan

Day 1 : start journey by lal kuan express
Day 2: arrive Nainital & local sightseeing as possible
Day 3 :reach Kausani from Nainital & stay over night at Kausani.
Day 4 : reach Munsiari from Kausani
Day 5 : local sightseeing at Munsiari
Day 6 : reach Chaukorifrom Munsiari & stay overnight at Chaukori
Day 7 : reach Almora from Chaukori & stay overnight at Almora
Day 8 : reach Nainital from Almora & local sightseeing as possible
Day 9 : sightseeing at Nainital and take return train at evening.

Kumaun Himalaya 
Kumaun Himalaya 
Kumaun Himalaya 
Kumaun Himalaya 
Kumaun Himalaya 
Kumaun Himalaya

হোটেল তালিকা

নৈনিতাল : নৈনিতাল উইলোস ( upper zoo road)
কৌশানী: হোটেল সুমিত,
মুন্সীয়ারী: হোটেল ভিজয় মাউন্ট ভিউ,
চৌকরী: হোটেল হিমশিখর,
আলমোরা: হোটেল শিখর,
হোটেলের দাম ১৫০০-২০০০ এর মধ্যে পেয়ে যাবেন।
গাড়ির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন
শুভদীপ দাস ( 8954243444) । হলদওয়ানির বাসিন্দা ।

No comments

Ads Place