খুব অল্প খরচে, অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে আসতে চান পাহাড়ে? তাহলে চলে যান শেলপু আর মাহালদিরাম।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিঝোরা পেরিয়ে একটু এগোলেই বাম দিকে একটা রাস্তা উঠে গেছে। সেই রাস্তা গেছে, সিটং পেরিয়ে শেলপু। একদম ছোট্ট জনপদ। থাকার জায়গা বলতে মহেশ প্রসাদ এর হোম স্টে। মহেশ প্রসাদের নিজস্ব ছোট গাড়ী আছে, নিজেই চালান। বললে বড় গাড়িরও ব্যবস্থা করে দেবেন। যদি ডিসেম্বর - জানুয়ারিতে যান তবে বোনাস হিসেবে পাবেন ওনার নিজস্ব কমলা লেবু বাগান। যত খুশী খান। শেলপু এবং তার আশেপাশের অঞ্চলটির মূল আকর্ষণ হল সিনকোনা, কমলালেবু বাগান আর চা বাগান।
প্রথমেই চলে যান শেলপু। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দেড় থেকে দু ঘন্টা। শেলপুতে দু দিন থাকুন। প্রথম দিন পৌঁছে মধ্যাহ্ন ভোজন করে একটু বিশ্রাম নিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান সিটং। ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসুন। পরদিন ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়ুন। ঘুরে আসুন অহল দাঁড়া, লাটপাঞ্চার, থাম আর পাঁচ পোখরি। অহল দাঁড়া অসাধারণ ভিউ পয়েন্ট। ওখানেও হোম স্টে আছে। কিন্তু সারাদিন ট্যুরিষ্টদের আনাগোনা, আর স্থানীয় লোকেদের পিকনিক চলে বলে, গিয়ে দেখে আসাটাই ভালো। শেলপুতে হোম স্টেতে খাওয়া দাওয়া অসাধারণ। দোতলায় দুটি ফার্ণিশড রুম, টিভি সমেত ড্রয়িং রুম আর গিজার সমেত সুসজ্জিত অত্যাধুনিক বাথরুম পাবেন। বাথরুম কিন্তু attached নয়। যেন দু কামরার ছোট খাট ফ্ল্যাট। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে ঘর থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন, ছাদে উঠলেতো কথাই নেই। উপরি পাওনা ওনাদের অমায়িক ব্যবহার, বাড়ি লাগোয়া ছোট চা বাগান আর বেশ কিছু কমলা লেবু গাছ। আপাতত থাকা খাওয়া নিয়ে রেট ১০০০ টাকা প্রতিদিন প্রতি জন। সর্বাধিক পাঁচ জন থাকতে পারবেন। যদিও আরও দুটি ঘর তৈরী হচ্ছে,শীঘ্রই সেগুলিও পাওয়া যাবে।
পরদিন চলে যান মাহালদিরাম। শেলপু থেকে ১৫ কিমি। এখানে হোম স্টে ১৪০০ টাকা প্রতিদিন প্রতি জন। অসাধারণ জায়গা। দু ধারে অপূর্ব চা বাগান। সারাদিন মেঘের আনাগোনা। চারটি সুসজ্জিত attached বাথরুম সহ ঘর আছে। কপালে থাকলে, এখান থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। চা বাগানে ঘোরাঘুরি করুন, বিশ্রাম নিন।
পরদিন ঘুরে আসুন বাগোড়া আর চিমনি। রাস্তার দুধারের দৃশ্য মনোরম। কুয়াশা ঘেরা ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ। একটু সস্তায় থাকতে চাইলে বাগোড়াতে হোম স্টেতে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে, খরচ ১০০০ টাকা প্রতিদিন, প্রতিজন। পাহাড়ের গায়ে মিনিট তিনেকের চড়াই ভেঙে উঠতে হবে।বাগোড়াতে একটি ফরেস্ট বাংলোও আছে। কার্শিয়াং DFO অফিস থেকে বুকিং পাওয়া যায়, যদিও বুকিং পাওয়া কষ্টকর। সেক্ষেত্রে, বাগোড়া থেকে গাড়ি নিয়ে মাহালদিরাম ঘুরে দেখে আসবেন। ছোট্ট এলাকা কিন্তু, অপূর্ব সুন্দর। যেহেতু ছোট এলাকা তাই গাড়ি খরচও তুলনায় কম পড়বে।
হাতে দিন বেশি থাকলে চটকপুরে থাকতে পারেন। চটকপুরে হোম স্টে আছে। ঘন জঙ্গল আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ এখানকার মূল আকর্ষণ। ১০০০-১২০০ টাকা প্রতিদিন প্রতিজন। তবে, রাস্তা খারাপের জন্য এখানে বড় গাড়ি আবশ্যক।
ছোট টিম হলে এই রুট আদর্শ। যেহেতু চটকপুর বাদে সব জায়গাতেই ঘরের সংখ্যা কম তাই বড় টিম না যাওয়াই ভালো।
ফেরার পথে দিলারাম হয়ে কার্শিয়াং হয়ে ফিরে আসুন।
শেলপু হোম স্টে এবং গাড়ির জন্য যোগাযোগ (মহেশ প্রসাদ)- 97330 14672
মাহালদিরাম (স্যালামান্ডার জঙ্গল ক্যাম্প) - 9733267517, 7908704471, 8972353003
বাগোড়া (ডিকি হোম স্টে)- 8967304437, 8145723177
চটকপুর (বিনোদ রাই) - 7583971517
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিঝোরা পেরিয়ে একটু এগোলেই বাম দিকে একটা রাস্তা উঠে গেছে। সেই রাস্তা গেছে, সিটং পেরিয়ে শেলপু। একদম ছোট্ট জনপদ। থাকার জায়গা বলতে মহেশ প্রসাদ এর হোম স্টে। মহেশ প্রসাদের নিজস্ব ছোট গাড়ী আছে, নিজেই চালান। বললে বড় গাড়িরও ব্যবস্থা করে দেবেন। যদি ডিসেম্বর - জানুয়ারিতে যান তবে বোনাস হিসেবে পাবেন ওনার নিজস্ব কমলা লেবু বাগান। যত খুশী খান। শেলপু এবং তার আশেপাশের অঞ্চলটির মূল আকর্ষণ হল সিনকোনা, কমলালেবু বাগান আর চা বাগান।
প্রথমেই চলে যান শেলপু। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দেড় থেকে দু ঘন্টা। শেলপুতে দু দিন থাকুন। প্রথম দিন পৌঁছে মধ্যাহ্ন ভোজন করে একটু বিশ্রাম নিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান সিটং। ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসুন। পরদিন ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়ুন। ঘুরে আসুন অহল দাঁড়া, লাটপাঞ্চার, থাম আর পাঁচ পোখরি। অহল দাঁড়া অসাধারণ ভিউ পয়েন্ট। ওখানেও হোম স্টে আছে। কিন্তু সারাদিন ট্যুরিষ্টদের আনাগোনা, আর স্থানীয় লোকেদের পিকনিক চলে বলে, গিয়ে দেখে আসাটাই ভালো। শেলপুতে হোম স্টেতে খাওয়া দাওয়া অসাধারণ। দোতলায় দুটি ফার্ণিশড রুম, টিভি সমেত ড্রয়িং রুম আর গিজার সমেত সুসজ্জিত অত্যাধুনিক বাথরুম পাবেন। বাথরুম কিন্তু attached নয়। যেন দু কামরার ছোট খাট ফ্ল্যাট। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে ঘর থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন, ছাদে উঠলেতো কথাই নেই। উপরি পাওনা ওনাদের অমায়িক ব্যবহার, বাড়ি লাগোয়া ছোট চা বাগান আর বেশ কিছু কমলা লেবু গাছ। আপাতত থাকা খাওয়া নিয়ে রেট ১০০০ টাকা প্রতিদিন প্রতি জন। সর্বাধিক পাঁচ জন থাকতে পারবেন। যদিও আরও দুটি ঘর তৈরী হচ্ছে,শীঘ্রই সেগুলিও পাওয়া যাবে।
পরদিন চলে যান মাহালদিরাম। শেলপু থেকে ১৫ কিমি। এখানে হোম স্টে ১৪০০ টাকা প্রতিদিন প্রতি জন। অসাধারণ জায়গা। দু ধারে অপূর্ব চা বাগান। সারাদিন মেঘের আনাগোনা। চারটি সুসজ্জিত attached বাথরুম সহ ঘর আছে। কপালে থাকলে, এখান থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। চা বাগানে ঘোরাঘুরি করুন, বিশ্রাম নিন।
পরদিন ঘুরে আসুন বাগোড়া আর চিমনি। রাস্তার দুধারের দৃশ্য মনোরম। কুয়াশা ঘেরা ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ। একটু সস্তায় থাকতে চাইলে বাগোড়াতে হোম স্টেতে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে, খরচ ১০০০ টাকা প্রতিদিন, প্রতিজন। পাহাড়ের গায়ে মিনিট তিনেকের চড়াই ভেঙে উঠতে হবে।বাগোড়াতে একটি ফরেস্ট বাংলোও আছে। কার্শিয়াং DFO অফিস থেকে বুকিং পাওয়া যায়, যদিও বুকিং পাওয়া কষ্টকর। সেক্ষেত্রে, বাগোড়া থেকে গাড়ি নিয়ে মাহালদিরাম ঘুরে দেখে আসবেন। ছোট্ট এলাকা কিন্তু, অপূর্ব সুন্দর। যেহেতু ছোট এলাকা তাই গাড়ি খরচও তুলনায় কম পড়বে।
হাতে দিন বেশি থাকলে চটকপুরে থাকতে পারেন। চটকপুরে হোম স্টে আছে। ঘন জঙ্গল আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ এখানকার মূল আকর্ষণ। ১০০০-১২০০ টাকা প্রতিদিন প্রতিজন। তবে, রাস্তা খারাপের জন্য এখানে বড় গাড়ি আবশ্যক।
ছোট টিম হলে এই রুট আদর্শ। যেহেতু চটকপুর বাদে সব জায়গাতেই ঘরের সংখ্যা কম তাই বড় টিম না যাওয়াই ভালো।
ফেরার পথে দিলারাম হয়ে কার্শিয়াং হয়ে ফিরে আসুন।
শেলপু হোম স্টে এবং গাড়ির জন্য যোগাযোগ (মহেশ প্রসাদ)- 97330 14672
মাহালদিরাম (স্যালামান্ডার জঙ্গল ক্যাম্প) - 9733267517, 7908704471, 8972353003
বাগোড়া (ডিকি হোম স্টে)- 8967304437, 8145723177
চটকপুর (বিনোদ রাই) - 7583971517
No comments